সর্বশেষ

সর্বশেষ কোনো খবর প্রকাশিত হয়নি।।

অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় সম্পর্কে


উত্তর বঙ্গের শ্রেষ্ঠ নগরী রাজশাহী। এই রাজশাহীকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। তাঁর মধ্যে শিক্ষা নগরী অন্যতম। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের তৎকালীন বিআইটি (বর্তমানে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) ক্যাম্পাসে এই প্রতিষ্ঠানটি পথচলা শুরু হয়। ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটি পড়াশোনার পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলামের জন্য সুনাম অর্জন করতে থাকে। যার ফলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে বিদ্যালয় থেকে মহাবিদ্যালয়ে পরিণত করা হয়। বর্তমানে নার্সারি শ্রেণি থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা চালু আছে। এছাড়া যুগোপযোগী বেকারমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নবম ও দশম শ্রেণির ভোকেশনাল শাখা ও চালু আছে। প্রতিটি শ্রেণি ও শাখার জন্য পৃথক পৃথক শ্রেণি কক্ষ আছে। প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসটি সম্পূর্ণভাবে সিসিটিভি আওতাভূক্ত।শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেম বাড়ানোর জন্য বিশাল শহিদ মিনার আছে। একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশিদ্ধ বই লাইব্রেরিতে আছে যা লাইব্রেরিভিত্তিক শিক্ষা অর্জনের অভ্যাস গড়ে তুলবে। লাইব্রেরিতে একসাথে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী বসে পড়াশোনা করতে পারে। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তাই তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব আছে। শিক্ষার্থীরা কম্পিউটারে হাতে কলমে শিখতে পারে। বিজ্ঞান শিক্ষাকে আরো যুগোপযোগী ও বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান শিক্ষার জন্য বিজ্ঞান ল্যাব আছে। একটি বড় মসজিদ আছে যা শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় আদর্শে মনোবল গড়তে সাহােয্য করবে। অনেক বড় একটি খেলার মাঠ আছে যা বিভিন্ন খেলার জন্য শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে। বিভিন্ন সময় নিজ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বা অন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে খেলাধুলার আয়োজন করা হয় যা খেলাধুলার ক্যারিয়ার গঠনে সাহায্য করবে। তাছাড়া এক্সট্রা কারিকুলাম যেমন কবিতা আবৃত্তি, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, গান ও নাচ প্রতিযোগীতা, হাম, নাথ ও সুরা কেরাত প্রতিযোগিতা সংগঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী ও খন্ডকালীন প্রায় ৭০ জন শিক্ষক/কর্মচারী আছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের পাশকৃত শিক্ষার্থীরা গুগোল, বুয়েট, রুয়েট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের সহিত কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো সুনাগরিক ও উন্নত ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, এই প্রত্যাশা করি।

হোম পেজ